নিউইয়র্কে নদীতে ঝাঁপ দেওয়া তরুণীকে বাঁচানো তিন পুলিশ অফিসারের একজন বাংলাদেশি

সংগৃহীত ছবি

 

অনলাইন ডেস্ক : নিউইয়র্ক সিটির ম্যানহাটানে হারলেম নদীতে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করতে যাওয়া ১৬ বছর বয়সী এক তরুণীকে ১১ নভেম্বর দুপুরে রক্ষা করেন তিন সাহসী পুলিশ অফিসার। তাদের মধ্যে একজন বাংলাদেশি।

প্রায় নয় বছর আগে, ম্যানহাটানের ডাউন টাউনে ব্যাটারি পার্ক সংলগ্ন হাডসন নদীতে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করা ৪৯ বছর বয়সী এক ব্যক্তির প্রাণ বাঁচিয়ে ইতিমধ্যেই প্রশংসা কুড়িয়েছিলেন নোয়াখালীর পুলিশ অফিসার রাজুব ভৌমিক। এবার সাহসী তিন অফিসারের একজন হলেন- ফরিদপুরের সন্তান শুয়াইবুল আমিন (২৭)। অপর দুইজন হলেন- ভারতীয় অঙ্কিত গুপ্ত (২৭) এবং হিস্প্যানিক উইলমার গুয়েরেরো (৩২)।

নিউইয়র্কের ডেইলি নিউজ ১৩ নভেম্বর প্রকাশিত সংবাদে বলা হয়েছে, ‘Cops save suicidal girl, 16, who jumped in freezing Harlem River’ শিরোনামে, টহল পুলিশের দলটি তরুণীকে হারলেম নদীর ওপর নির্মিত ব্রিজের কার্নিশে উপরে উঠতে দেখেন। সেখানে সাধারণত কেউ নিরাপদে থাকতে পারে না। তাই তিন অফিসার স্বপ্রণোদিতভাবে তার কাছে যান। তাকে নেমে আসার অনুরোধ করেও সাড়া না পেয়ে শুয়াইবুল আমিন তার হাত ধরার চেষ্টা করেন, কিন্তু সফল হননি।

এরপর তরুণী নদীর হিমশীতল পানিতে লাফ দেন এবং আর্তচিৎকার করতে থাকেন। তিনি নিজেই জানিয়ে দেন যে তিনি সাঁতার জানেন না। নদীর কিনারা থেকে ২০–৩০ ফুট দূরে গভীর পানিতে ডুবে যেতে দেখে উইলমার গুয়েরেরো চোখের নিমেষে বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট ও রিভলভার বেঁধে রাখার বেল্ট খুলে লাফ দেন এবং সাঁতরে তরুণীকে উদ্ধার করেন।

নদীর কিনারায় পৌঁছালে শুয়াইবুল আমিন ও অঙ্কিত গুপ্ত তরুণীকে টেনে তুলেন। তখন আরও পুলিশ অফিসার ঘটনাস্থলে পৌঁছান এবং অ্যাম্বুলেন্সে তাকে নিকটস্থ হাসপাতালে পাঠানো হয়।

শুয়াইবুল আমিন বলেন, সৃষ্টিকর্তার শোকরিয়া যে আমরা সঠিক সময়ে সেখানে পৌঁছেছিলাম। আশা করি তরুণীটি প্রয়োজনীয় সকল সহযোগিতা পেয়ে সুস্থ জীবন-যাপন করতে পারবেন। আমি তার সুন্দর জীবন কামনা করি।

অঙ্কিত গুপ্ত বলেন, আমি আশা করি তিনি বুঝতে পারবেন যে আত্মহত্যার পথ সমীচীন ছিল না। একা নন, আমরা সবাই তার সঙ্গে রয়েছি। তার মানসিক ও অর্থনৈতিক কষ্ট কমাতে সমাজে আরও অনেক মানুষ আছেন।

উইলমার গুয়েরেরো বলেন, পানিতে ঝাঁপ দেওয়ার পর টের পেলাম কত ঠান্ডা। জীবনের মায়া ত্যাগ করে তরুণীকে বাঁচানোই তখন একমাত্র প্রার্থনা ছিল। এতকিছুর মধ্যেও আমি সন্তুষ্ট যে, তরুণীটি দ্বিতীয় জীবন পেলেন এবং সুন্দরভাবে বেঁচে রয়েছেন

সূএ: বাংলাদেশ প্রতিদিন

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



» ভূমিকম্পে পুরান ঢাকার ক্ষতিগ্রস্ত ভবন পরিদর্শনে ইশরাক হোসেন

» ৫৪ বছর যারা ক্ষমতায় ছিলেন জাতি তাদের লাল কার্ড দেখাবে: গোলাম পরওয়ার

» বায়তুল মোকাররম দক্ষিণ গেটে পিলারের ভেতরে আগুন

» সেনাকুঞ্জে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে জামায়াত আমিরের কুশল বিনিময়

» পুরান ঢাকার প্রায় ৯০ শতাংশ বিল্ডিং কোড না মেনে নির্মিত : রিজওয়ানা

» ভূমিকম্পে হেলে পড়ল ৭ তলা ভবন

» আন্তঃজেলা গরু চোর চক্রের ছয় সদস্য গ্রেপ্তার

» ‘সাইয়ারা’ নায়িকার সঙ্গে প্রেমের গুঞ্জন, মুখ খুললেন নায়ক

» ইরানের পারমাণু ইস্যুর রাজনৈতিক সমাধান চায় রাশিয়া

» এমন ভূমিকম্প আগে কখনও অনুভব করিনি : ফারুকী

 

সম্পাদক ও প্রকাশক :মো সেলিম আহম্মেদ,

ভারপ্রাপ্ত,সম্পাদক : মোঃ আতাহার হোসেন সুজন,

নির্বাহী সম্পাদকঃ আনিসুল হক বাবু

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন: ই-মেইল : [email protected],

মোবাইল :০১৫৩৫১৩০৩৫০

Desing & Developed BY PopularITLtd.Com
পরীক্ষামূলক প্রচার...

নিউইয়র্কে নদীতে ঝাঁপ দেওয়া তরুণীকে বাঁচানো তিন পুলিশ অফিসারের একজন বাংলাদেশি

সংগৃহীত ছবি

 

অনলাইন ডেস্ক : নিউইয়র্ক সিটির ম্যানহাটানে হারলেম নদীতে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করতে যাওয়া ১৬ বছর বয়সী এক তরুণীকে ১১ নভেম্বর দুপুরে রক্ষা করেন তিন সাহসী পুলিশ অফিসার। তাদের মধ্যে একজন বাংলাদেশি।

প্রায় নয় বছর আগে, ম্যানহাটানের ডাউন টাউনে ব্যাটারি পার্ক সংলগ্ন হাডসন নদীতে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করা ৪৯ বছর বয়সী এক ব্যক্তির প্রাণ বাঁচিয়ে ইতিমধ্যেই প্রশংসা কুড়িয়েছিলেন নোয়াখালীর পুলিশ অফিসার রাজুব ভৌমিক। এবার সাহসী তিন অফিসারের একজন হলেন- ফরিদপুরের সন্তান শুয়াইবুল আমিন (২৭)। অপর দুইজন হলেন- ভারতীয় অঙ্কিত গুপ্ত (২৭) এবং হিস্প্যানিক উইলমার গুয়েরেরো (৩২)।

নিউইয়র্কের ডেইলি নিউজ ১৩ নভেম্বর প্রকাশিত সংবাদে বলা হয়েছে, ‘Cops save suicidal girl, 16, who jumped in freezing Harlem River’ শিরোনামে, টহল পুলিশের দলটি তরুণীকে হারলেম নদীর ওপর নির্মিত ব্রিজের কার্নিশে উপরে উঠতে দেখেন। সেখানে সাধারণত কেউ নিরাপদে থাকতে পারে না। তাই তিন অফিসার স্বপ্রণোদিতভাবে তার কাছে যান। তাকে নেমে আসার অনুরোধ করেও সাড়া না পেয়ে শুয়াইবুল আমিন তার হাত ধরার চেষ্টা করেন, কিন্তু সফল হননি।

এরপর তরুণী নদীর হিমশীতল পানিতে লাফ দেন এবং আর্তচিৎকার করতে থাকেন। তিনি নিজেই জানিয়ে দেন যে তিনি সাঁতার জানেন না। নদীর কিনারা থেকে ২০–৩০ ফুট দূরে গভীর পানিতে ডুবে যেতে দেখে উইলমার গুয়েরেরো চোখের নিমেষে বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট ও রিভলভার বেঁধে রাখার বেল্ট খুলে লাফ দেন এবং সাঁতরে তরুণীকে উদ্ধার করেন।

নদীর কিনারায় পৌঁছালে শুয়াইবুল আমিন ও অঙ্কিত গুপ্ত তরুণীকে টেনে তুলেন। তখন আরও পুলিশ অফিসার ঘটনাস্থলে পৌঁছান এবং অ্যাম্বুলেন্সে তাকে নিকটস্থ হাসপাতালে পাঠানো হয়।

শুয়াইবুল আমিন বলেন, সৃষ্টিকর্তার শোকরিয়া যে আমরা সঠিক সময়ে সেখানে পৌঁছেছিলাম। আশা করি তরুণীটি প্রয়োজনীয় সকল সহযোগিতা পেয়ে সুস্থ জীবন-যাপন করতে পারবেন। আমি তার সুন্দর জীবন কামনা করি।

অঙ্কিত গুপ্ত বলেন, আমি আশা করি তিনি বুঝতে পারবেন যে আত্মহত্যার পথ সমীচীন ছিল না। একা নন, আমরা সবাই তার সঙ্গে রয়েছি। তার মানসিক ও অর্থনৈতিক কষ্ট কমাতে সমাজে আরও অনেক মানুষ আছেন।

উইলমার গুয়েরেরো বলেন, পানিতে ঝাঁপ দেওয়ার পর টের পেলাম কত ঠান্ডা। জীবনের মায়া ত্যাগ করে তরুণীকে বাঁচানোই তখন একমাত্র প্রার্থনা ছিল। এতকিছুর মধ্যেও আমি সন্তুষ্ট যে, তরুণীটি দ্বিতীয় জীবন পেলেন এবং সুন্দরভাবে বেঁচে রয়েছেন

সূএ: বাংলাদেশ প্রতিদিন

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



সর্বাধিক পঠিত



 

সম্পাদক ও প্রকাশক :মো সেলিম আহম্মেদ,

ভারপ্রাপ্ত,সম্পাদক : মোঃ আতাহার হোসেন সুজন,

নির্বাহী সম্পাদকঃ আনিসুল হক বাবু

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন: ই-মেইল : [email protected],

মোবাইল :০১৫৩৫১৩০৩৫০

Design & Developed BY ThemesBazar.Com